Breaking

Sunday, June 26

June 26, 2022

মাউন্ট এভারেস্ট এর অজানা ১০টি তথ্য


বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি, পৃথিবীর সব থেকে বড় পর্বত শৃঙ্গ হলঃ মাউন্ট এভারেস্ট। এর আয়তন আট হাজার আচলিশ  মিটার এবং এই চূড়ায় পৌঁছানো টা প্রচন্ড কঠিন একটি কাজ।


 কিন্তু বর্তমানে সেই কঠিন কাজ, অনেক পর্বতারোহীরা সম্পন্ন করেছে।

 এবং ভবিষ্যতেও করবে।

 কিন্তু আপনারা কি জানেন মাউন্ট এভারেস্টে যাত্রাকালীন গড়ে প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটে।


 তবে যদি এই অবস্থা আজকের দিনে ঘটে থাকে, তবে প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট আরোহীদের কি অবস্থা হয়েছিল? জাস্ট একটু কল্পনা করে দেখুন।?


  আছা! আপনারা কি জনেন, মাউন্ট এভারেস্ট প্রথম পৌঁছেছিলেন কিভাবে? 

 যদি এটা নাও জেনে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই এখন সেটা জানতে আপনার ইচ্ছা করছে।


 কারণ আমি জানি আপনাদের প্রত্যেকের মধ্যেই রোমান্স এবং অ্যাডভেঞ্চার এর চাহিদা অনেক বেশি।


 যে কারণে আপনারা অদ্ভুত পৃথিবীর এর সাথে যুক্ত হয়ে আছেন, তবে চলুন বেশি দেরি না করে ভিডিও শুরু করা যাক। 

 😁😁😁😁😁

এভারেস্ট জয় করার প্রথম হিরোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ ভিডিওটিকে।

😆😆😆😆😆😆😆


পৃথিবীর সবথেকে বড় এবং উচ্চতম পর্বতমালা মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার স্বপ্ন, উনিশ একুশ সালের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু সেই পর্বতমালার শৃঙ্গে কেউ উঠতে পারছিল না। 

কারন আমরা সকলেই জানি এভারেস্টে ওঠার খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়।

 এবং এখানে পৌঁছানোর জন্য খুবই জটিল এবং ভয়ঙ্কর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়।


 উনএিশ হাজার তিরিশ ফুট উঁচু পর্বতের রাস্তায় অনেক মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।

 আর এই মিশনে আজ পযন্ত  অনেক লোক পরাজিত হয়েছে।

 আবার অনেক মানুষ তার জীবন ত্যাগ করেছে। 

এমনকি এই পর্বতমালা তেই আজও বহু মানুষের মৃতদেহ বরফের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। 

যেটা আজও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

কিন্তু এইসব ঘটনার পরেও কিছু সাহসী লোকেরা কোন ভাবেই হার মানেনি।

😆

 তারা অনবরত এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার আপান চেষ্টা  চালিয়ে গিয়েছে। 

আর এইসব সাহসীদের মধ্যে একজন ছিলেন নেপালের তেনজিং নরগে। উনিশো বাউয়ানে সালে নেপালের বাসিন্দা তেনজিং নরগে মাথায়, মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার ইচ্ছা মাথা চাড়া দিয়েছিলো।

😁😁😁

 তাই সে আর একজন পর্বতারোহী সুইজারল্যান্ড লেমন্ট লেনবার এর সঙ্গে মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার ঝুঁকি নিয়ে নেয়।


 কিন্তু শেরপা তেনজিং সেই বার ব্যর্থ হয়। উনিশো বাউয়ানে  সালে রেমন ও তেনজি মোটামুটি এভারেস্ট শৃঙ্গে কাছাকাছি চলে এসেছিল।

 কিন্তু অত্যন্ত বাজে ওয়েদার এর কারণে, এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গ থেকে, একহাজার  ফুট দূরত্ব থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল তাদের।

🦧🦧

 মাউন্ট এভারেস্টের এতটা কাছে কাছে এসে ফিরে চলে আসা দুঃখটা তাদের সঙ্গেই রয়ে গিয়েছিল।

 কিন্তু এই যুদ্ধে রেমন হেরে গেলেও, শেরপা তেনজিং কোনভাবেই হার মানেননি।


 তেনজিং আবার উনিশো তিপানো সালে সাত জন ইংরেজ এবং দুইজন সুইজারল্যান্ডের পর্বতারোহীকে নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট এর জাএরা শুরু করে। 


 ট্রেন্দিং এডমন্টন হেংরি আরমান হেনরি এবং তাদের টিম পর্বতারোহণ শুরু করে।

.....

  নয়ে এপ্রিল উনিশো তিপানো সালে বরফের রাস্তা মাইনাস  টেম্পারেচার হিম নদী। নদী থেকে ভেঙে পড়া বরফের পাহাড়। এবং বরবের খাত ইত্যাদি বাধা এবং প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে তারা একটির পর একটি ক্যাম্প তৈরি করে চলেছিল।

 এবং সময়ের সাথে সাথে নিজেদের উদ্দেশ্যে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে। মোটামুটি কুড়ি হাজার ফুট ওঠার পর একটি ছোট্ট পাহাড়ের খাদ পার করবার জন্য হেনরি লাভ দেয়।


 কিন্তু তার শরীরের ভারের এর কারণে বরফের রাস্তা সেখান থেকে খসে পড়ে।

 এবং সেই মুহূর্তে হেনরি প্রায় বরফের নিচে প্রাণ হারাতে বসেছি। 

তখনই সময় থাকতে হেনরির পেছন থেকে, তানজিং ছুঁড়ে দেয়। 

আর সেই দড়ি ধরে হেনরি কোনরকম প্রাণে বেচে যাই।

এবং হেনরির টিম আস্তে আস্তে এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গের কাছে চলে আসতে থাকে।


 কিন্তু তেনজিং দের আগে পর্বতারোহণ শুরু করেছিল চালসওয়ান্টএর টিম। 


যারা তেনজিং এর টিমের অনেক আগেই এভারেস্টের চূড়া দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।

 অর্থাৎ কোনো কারণে ওয়ার্ল্ড টিম এভারেস্টে উঠতে ব্যর্থ হলে বা পর্বতারোহণ বন্ধ করে যদি ফিরে আসে তবে তার পরে তেনজিং এর টিম এগিয়ে যেতে পারবে। 

কারণ এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার একটা রাস্তা  ছিল। একটি তেনজিং  এবং হেংরির টিম মোটামুটি অর্ধেকের বেশি পর্বতারোহণ করে ফেলেছিল।

 কিন্তু এভারেস্টের একদম কাছাকাছি থাকা শেষ খাচ্ছি অত্যন্ত কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

 আর যেখানে পৌছাতে গিয়ে অনেক অনেক পর্বতারোহীরা নিজেদের জীবন ত্যাগ করেছে। 

সেইটার উনিশো তিপানো সালের ছাব্বিশ  শে মে মাউন্ট এভারেস্টের শিখরে কাছ থেকে ওয়ার্ল্ড টিম তিনশো  ফুট দূরে ছিল।


 কিন্তু এবং তার সাথীরা খুবই ক্লান্ত ছিল। তাদের শরীরে আর চলার মতন শক্তিও ছিল না। বলা যেতে পারে

তাদের এক পা চলার  মতন ক্ষমতা ছিল না। 


তাই তারা মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ থেকে প্রায় তিনশো ফিট দূর থেকেই ফিরে যায়।


Md.Mehedi Hasan, [6/26/2022 9:01 PM]

ওয়াল্টের এর দল চলে যাওয়ার পর, এই তেনজিং  এবং হেংরির টিম সামনে এগিয়ে আসে।

 এবং তারা একটি রাত ঘুমানোর পর এই পরেরদিন সকালেই ট্রেন্দিং একটা টিম নিজের যাত্রার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়। 

সেই সময় তাপমাত্রা ছিল -সাতাশ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল।


 কিন্তু তবুও এই সাহসী বীরেরা কোনভাবে হাল ছাড়েনি তারা প্রতিকূলতা ও নিজের শরীরের কঠিন অবস্থার সম্মুখিন হতে হতে একের পর এক বাধা অতিক্রম করতে থাকে।

 আর এই ভাবেই সকাল নটার সময় তারা দক্ষিণ শিখরে পৌঁছে যায়। 


কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের অক্সিজেন কমতে থাকে। আর তাদের কাছে তখন আর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না। যে তারা পরবর্তী পরবতের পুরো অবিজান করতে পরাবে বা নিচে চেল আসতে পারবে।


 এমন পরিস্থিতিতে তেনজিং  এর গতি কমতে থাকে এবং তার পা ধীরে ধীরে ভারী  হতে শুরু করে।

 ঠিক একই রকম অবস্থা কিছুটা হেনরি ও হচ্ছিল। হেনরি ও তেনজিং-এর দিকে কিছুক্ষণ তাকায় এবং তেনজিং কে কিছুটা সময় থামিয়ে দেয় বিশ্রামের জন্য। সেই সময়ের মধ্যে হেনরি তেনজিং-এর অক্সিজেনের নলকে পরিষ্কার করে দিচ্ছিল।

 কারণ তেনজিং-এর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। 




এইভাবেই আস্তে আস্তে মাথা ঠান্ডা রেখে। তারা সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিকে অতিক্রম করতে থাকে। 

এবং তাদের পদক্ষেপ এভারেস্ট পর্বত মালার দিকে বাড়িয়ে দিতে থাকে। এইভাবে শেষ পর্যন্ত উনএিশো মে উনিশো তিপানো সালে তেনজিং ও হেনরির নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়।

 যখন তারা সকাল এগারোটার সময় পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে উঁচু পর্বত শৃঙ্গ উনএিশ হাজার এিশ ফুট অর্থাৎ আট হাজার আটশো আচলিশ মিটার উঁচুতে পৌঁছায় সেই সময়ে তাঁদের আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। 

তাদের মাথায় অতীতের কোন কষ্ট বা সামনের পরিশ্রমের কোন চিন্তা ছিল না।


 আসলে সেই সময়, তারা দুইজন যেন অন্য পৃথিবীতেই দাঁড়িয়েছিলেন। 

কারণ পৃথিবীর সবথেকে উঁচু তে থাকা স্থান থেকে পৃথিবীর নিচের দৃশ্য কিছুক্ষণের জন্য তাদের মন মুগ্ধ করে দিয়েছিল।

 আর যে দৃশ্য তারাই প্রথম দেখেছিল। কিন্তু একটা সময় তাদের অক্সিজেনের অভাব এবং শরীরের খাটনি তাদের জ্ঞান ফেরাই। তারা খুব সামলে চূড়া থেকে জীবিত ফিরে আসে। এবং জয় করে পৃথিবীর এমন চারটি চোখ যে চারটি প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য কে নিরক্ষর করেছিল।

 তাদের এই যাত্রায় না ছিল এভারেস্টের গায়ে দড়ি লাগানো। না ছিল পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, তাও তারা পেরেছিল এবং তৈরি করেছিল এমন এক রাস্তা যেটা দশকের পর দশক ধরে অবলম্বন করেছে পর্বতারোহীরা। তো বন্ধুরা আপনাদের সকলের জন্য একটাই প্রশ্ন আপনাদের কখনো কি ইচ্ছা হয়েছে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখার অবশ্যই সেটা কমেন্ট বক্সে জানাবে।

#৳#

তো বন্ধুরা এমনই আনকমন ইন্টারেস্টিং রহস্য-রোমাঞ্চ ভিডিও দেখতে আমাদের চ্যানেলটি এখনি সাবস্ক্রাইব করুন। 


এবং পাশে থাকা বেল আইকনটি প্রেস করুন।

 ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিতে পারেন।

 তবে আমাদের আজকের আয়োজন এ পর্যন্তই। 

দেখা হচ্ছে আগামী ভিডিওতে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন

Saturday, July 11

July 11, 2020

মধ্যবিত্ত বেকার ছেলে

মধ্যবিত্ত বেকার ছেলে গুলো এক বুক ভালোবাসা নিয়ে একটা প্রেম করে..অবশ্যই তাদের হাতে অফুরন্ত সময় থাকে এবং তাদেরকে যেভাবে খুশি সেভাবে নাচানো যায়..খুব যত্ন করে তার প্রেমিকা তাকে একরাশ কষ্ট দিলেও সে জাস্ট ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে সেটা সহ্য করে নেয়..প্রেমিকার মন খারাপ??গুরুদায়িত্ব এসে তার কাঁধে বর্তায়.. ইনিয়ে বিনিয়ে সারারাত কথা বলে প্রেমিকার মন ভাঙায়.. !!
এরকম ছেলে গুলোকে খুব সহজে যন্ত্রণায় ফালানো যায়.. অপরপ্রান্তে ফোন ওয়েটিং দেখে সে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে.. অতঃপর তাকে বুঝানো হয় যে ফোনে সে "কাজিনের" সাথে কথা বলছিলো এবং উল্টো তাকে হেনস্থা করে বলে দেওয়া হয় সে কতটা "ব্যাকডেটেড".. !!
কিন্তু একটা কথা শুনো, তোমাকে একদিন রিক্সায় ঘুরানোর জন্য সে রিকশাচালকের মতো কষ্ট করেছে, বাবার মানিব্যাগ থেকে চোরের মতো কিছু টাকা সরিয়েছে, বোনকে আপসারাপ বুঝিয়ে আরো কিছু টাকা ম্যানেজ করেছে, আলু-পটলের কেজি ২৫ টাকা হলে বাসায় বলেছে আজকে পটলের কেজি ৩০ টাকা..কিন্তু তুমি জানতেই পারছো না প্রেম করার এই ভেতরের গল্পগুলো..তুমি বরং ফুচকা খেয়ে ঠোঁট লাল করে গাল ফুলিয়ে তার সাথে চাইনিজ না খাওয়ার জন্য ঝগড়া করো.. আর দাঁত কেলিয়ে হেঁসে মানিব্যাগ হাতড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেঃ "ইশ,আর কয়েকটা টাকা হলেই দু'জনে চাইনিজটা খেতে পারতাম".. !!
.তোমার মনে কষ্ট না দেওয়ার প্রতিজ্ঞায় সে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে বাসায় ফিরে,খবর পেয়েছো? বিশ্বাস করো, তবুও তার পরোয়া নেই, ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে ফোনটা কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সে তোমাতে আচ্ছন্ন থাকে!!
অথচ তুমি একদিন একটা ইস্টাব্লিশড ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার দেখে বিয়ে করে ফেলবে, ছেলেটা সেদিনও ফ্যালফ্যাল করে হাসবে কারণ সে তোমার অসহায় অশ্রুসিক্ত চোখে তার নিজের বেকারত্ব-দুর্বল তা দেখতে পাবে.. একবার শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে বলবেঃ "ভালো থেকো প্রিয়দর্শিনী".. !!
তুমি হয়তো অনেক ভালো থাকবে, সবকিছুর মোহে সবকিছু ভুলে যাবে, কিন্তু বিশ্বাস করো তুমি যখন হাসবে তখন একজোড়া অবাক মুগ্ধনয়নে কেও তোমার দিকে তাকাবে না..
চাইনিজে বসে তুমি যখন চিকেন ফ্রাই খাবে তখন তোমার ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার স্বামী ব্যস্ততার ভারে মাথা ঝুঁকিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবে..
তুমি অনেক কষ্ট নিয়ে খেয়াল করবে তোমার ঠোঁটের উপরের তিলটাকে কেও খুব যত্ন করে খেয়াল করছে না,নীলাভ চোখে কেও তোমাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে না..ঠিক ওই মুহূর্তে তুমি বেঁচে থেকেও খুন হয়ে যাবে, হতেই থাকবে....!
July 11, 2020

বেকার ছেলের কান্না


বেকার ছেলের কান্না

বেকার মানুষের কান্না বেকারত্ব এক অভিশাপ। ভয়াবহ হতাশার জীবন এই বেকার জীবন। তাই বেকারদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়েছে সরকার। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণে ‘বেকার ভাতা’ দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করছে সরকার। ‘সামাজিক নিরাপত্তা (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০১৯’ শীর্ষক নতুন একটি আইন প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রস্তাবিত আইনটির খসড়ায় সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবনচক্র যেন
নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে থাকে সে বিষয়টি বিবেচনায় থাকছে। প্রস্তাবিত খসড়াটি আইনে পরিণত হলে দরিদ্র সব নাগরিকের ‘জীবনচক্র’ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় চলে আসবে। একজন মানুষের ভ্রূণ থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর, যুবক ও প্রবীণ বয়স অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আটটি গুচ্ছভাগে বিভক্ত করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নিরাপত্তামূলক কাজ করবে। খসড়া আইনে একজন মানুষের জীবনচক্রকে পাঁচটি ‘বিষয়ভিত্তিক ক্লাস্টার’-এ অভিহিত করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস্টার বাস্তবায়নে আলাদা কমিটি থাকবে। ক্লাস্টারগুলো হলো ১. সামাজিক ভাতা; ২. খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্যোগ সহায়তা; ৩. সামাজিক বীমা; ৪. শ্রম ও জীবিকায়ন; ৫. মানব উন্নয়ন, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও প্রশিক্ষণ। এই ক্লাস্টারগুলোর আওতাধীন ক্ষেত্রগুলোতে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে আট থেকে ১০টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি করে কমিটি থাকবে। আইনটির সুফল সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পৌঁছাতে মোট ছয়টি তদারকি কমিটি থাকবে। আর সার্বিকভাবে বিষয়টি দেখভাল করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। ‘সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় পরিষদ’-এর নেতৃত্বে থাকবেন অর্থমন্ত্রী। সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’র ১৫ অনুচ্ছেদ থেকেই আলোচ্য আইনটি উৎসারিত। এতে ‘মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা’ শীর্ষক অংশে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন।’ এই অনুচ্ছেদের উপদফা ঘ-তে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকারী’ হবে মানুষ। বেকার ভাতা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়ার ‘সামাজিক বীমা ক্লাস্টার’-এর আওতায়। এই ক্লাস্টারটির নেতৃত্বে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এই ক্লাস্টারের মূল কাজের বিষয়ে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান বীমা কার্যক্রমগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য বার্ধক্য পেনশন, বেকারত্ব ভাতা, দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, মাতৃত্ব ঝুঁকি ইত্যাদি টেকসই সামাজিক বীমা ব্যবস্থার আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো স্থাপন ও পরিচালনা ব্যবস্থা তদারকি করা। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমগুলোর আর্থিক সহায়তা বা ভাতা সরাসরি ‘সরকার থেকে ব্যক্তি’ (জি টু পি) পদ্ধতিতে সম্পন্নের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্যতা’র বিষয়ে খসড়ায় ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও অযোগ্যতা শর্তগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে ‘দারিদ্র্য স্কোর’ ব্যবস্থা চালুর বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দারিদ্র্য স্কোরভিত্তিক খানা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় পরিষদ অথবা স্থানীয় এনজিওর সহায়তায় উপজেলা কমিটি যাচাইপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।’ নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সামাজিক নিরাপত্তা প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবে। আবেদন পাওয়ার পর ‘যথাশীঘ্র’ সম্ভব আবেদন যাচাই-বাছাই করে আবেদনকারীকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। এই প্রস্তাবটি সংসদে পাস হয়ে যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে এসব অধিকার পাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তখন যদি কেউ যোগ্য হওয়ার পরও প্রদত্ত সুবিধা না পায় তাহলে আদালতে যেতে পারবে।

Thursday, June 6

June 06, 2019

সাথ ছাড়া মা-বাবার গল্প

সাথ ছাড়া মা-বাবার গল্প 

আজকে ঈদের দিন এই দিন আমার এই গল্প টা লিখা। তাই সবাই কে "ঈদ মোবারক"।  প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলোও।একটি পরিবারের সদস্য দু জন্য দিয়ে শুরু করা হয়।  তারপরে দাপে দাপে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
এবাবেই গড়ে উঠে  একটা  ছোট পরিবার। তার কিছু দিন পরে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটা ফুরফুরে চেহারার এক ছোট শিশু। এতো সুন্দর  শিশুর কে পেয়ে মা বাবার মুখ মলিন হাসি 😀😀মা বাবা  ছোট শিশুর মায়াবী  মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং মনে মনে ভাবে এই শিশু কে মানুষের মতমতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব সেই আমাদের মুখে হাসি ফুটাবে। এই আশায় বাবা-মা ছেলে কে বড় করতে থাকে শুধু একটুক সুখের আসায়।বাবা-মা ছেলে কে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার জন্য  পায়ে গাম মাটিতে ফেলে ছেলে কে বড় ও শিখিত করে তুলে।  তার পারে তাকে কর্ম দরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে বাবা -মায়ের। কিন্তু সব দায়িত্ব শুধু বাবা মায়ের থাকে ছেলে -মেয়ের কোন দায়িত্ব থাকে না। বাবা মায়ের দায়িত্ব আনেক কিন্তু ছেলে মেয়ের দায়িত্ব শুধু তাদের সেবাকে গ্রহণ করা এবং তারা বৃদ্ধ হলে তাদের সেবাত দুরের কথা তাদের মা-বাবার পরিচয় পযন্ত না দেওয়া। তার কি খেল বা না খেন তার  প্রতি কোন খেল না রাখা। তাদের শরীল কেমন আছে তা না জানা। বাকি আংশ আরেক দিন বলব
(আমাদের গল্প টি সম্পুর্ন বাস্তব জীবনী গঠে যাওয়া কাহিনী)

Sunday, May 12

May 12, 2019

তোমার লজ্জা করেনা নষ্ট একটা শরীর নিয়ে বধু সেঁজে বসে থাকতে..?

তোমার লজ্জা করেনা নষ্ট 
একটা শরীর নিয়ে বধু সেঁজে বসে থাকতে.....

👉👉👉📚এই পোস্ট খারাপ লাগলে ক্ষমা করবেন🙏কিন্তু সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল...

যখন bf তোমার থেকে তোমার hot পিক চায় তখন কি মনে থাকেনা...কাকে কি দিতে যাচ্ছো?বালিকা যখন তোমার bf তোমার জামার ভিতর হাত দেয় তখন কি মনে থাকেনা... কার সম্পদ কার জন্য উন্মুক্ত করে দিলে?

বালিকা যখন তোমার bf এর ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাও !... তখন কি মনে থাকেনা তুমি কার সম্মান নিয়ে মাঠে নামলে নিজেকে খোলা রেখে ..?
বালিকা যখন bf এর সাথে নিজুম ফ্ল্যাটে গিয়ে দুটি দেহ এক করে শুয়ে থাকো তখন কি মনে থাকেনা কার সম্পদ কাকে বিলিয়ে দিচ্ছো. .?
নিজের মত করে যখন নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছো 😟😟
তাহলে পরে আবার কেন সে অপবাদ সব ছেলেকে দিচ্ছো..?

এই মেয়ে একটা ছেলের জন্য সব ছেলেকে কেন দোষী করছো..?
মজা কি শুধু ছেলেটা নিয়েছে
তুমি নাওনি..?
ছেলেটা যেমন একটু সুখের জন্য তোমাকে চেয়েছে 🤔🤔
ঠিক তেমনি তুমিও চেয়েছো সে সুখের ভাগীদার হতে ,
আর সেই সুখ পেতে খুব সহজে নিজেকে শিয়াল কুকুরের খাবার বানালে..!

আরে নিজের ভালোতো একটা পাগলেও বুঝে,
আর তুমি ছিঃ কেউ চাইতে শুয়ে পড়লে
কখনও কি ভেবে দেখেছো যাকে সবকিছু দিলে তার সাথে যদি তোমার বিয়ে নাহয়
যদি আরেকজনের সাথে হয়
তখন তাকে কি দিবে ?

কি আছে তোমার কাছে দেবার মত তোমার স্বামীকে..?😾😾
তখন কি তোমার লজ্জা করবেনা নষ্ট একটা শরীর নিয়ে বধু সেঁজে বসে থাকতে..?
তুমি জানোনা
ঈদের চাঁদ দেখলে মানুষ যতটা খুশি হয় ততটা খুশি ঈদের দিনও হয়না
কেন জানেন?

কারন .!.. ঈদের দিন মানে ঈদ শেষ
আর চাঁদ দেখা মানে কাল ঈদ
এটা ভাবতেই তো খুশিতে বুকটা ভরে যায়
ঠিক তেমনি যে তোমাকে বিয়ের আগে পেয়ে গেছে
তার আবার কি দরকার তোমাকে বিয়ে করার/
তাই যার সাথে সম্পর্ক করুন বুঝে শুনে সুন্দর মনের একটা মানুষের সাথে করুন!🤔🤔
কারও খারাপ লাগলে ক্ষমা করবেন।👏👌👌.......

Friday, May 10

May 10, 2019

মামা কি জিনিস লইয়া ঘুরতাছে দেখছস? পুরাই পিনিক!

 মামা কি জিনিস লইয়া ঘুরতাছে দেখছস? পুরাই পিনিক!

কোথায় বসবাস করি আমরা বিবেক বলতে কিছু নেই।
 বোনকে নিয়ে বের হইছি। রেজাল্ট দেওয়ার আগে বলেছিল- 'ভাইয়া আমি যদি পাশ করি তাহলে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে; রেস্টুরেন্টে খাওয়াবে।' একমাত্র বোন আমার। পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে আজ; জিপিএ ৪.৫০ পেয়েছে। আসলে ওর চেয়ে বেশি খুশি আমি হয়েছি। এত বেশি খুশি হয়েছি বলে বুঝানো যাবেনা। তাই তার ইচ্ছেটা পূরণ করার জন্যই বের হয়েছি ওকে নিয়ে।
রিক্সা করে মাত্র কিছুটা এসেছি। রাস্তার মোড় পাস করতেই দুইটা ছেলে কমেন্ট করে বসলো- মামা কি জিনিস লইয়া ঘুরতাছে দেখছস? পুরাই পিনিক!
আমি রাগে-লজ্জায় বোনের পাশে আর বসে থাকতে পারছিলাম না। বোন আমাকে জোর করে ধরে না রাখলে এদের মেরে অবস্থা খারাপ করে ফেলতাম। বোনের দিকে তাকাতে পারছিনা লজ্জায়। বোন নিয়ে কেউ এমন কমেন্ট করতে পারে? বিশ্বাস করুন আমি যেন তখন আর বেঁচে নেই।
রেস্টুরেন্ট এসে বসেছি। বোন এবং আমার জন্য খাবার অর্ডার করলাম। কিছুক্ষন পর আবার ওয়েটার এসে কানে কানে বলে গেলো- স্যার স্পেশাল রুম লাগবে; একদম সেফটি।
কথাটা শুনার পর ওয়েটারকে ইচ্ছে করছিল; জিহ্বাটা টেনে ছিঁড়ে ফেলতে। একটা রেস্টুরেন্টে কি প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়া অন্য কেউ যায় না? একেকটা ঘটনায় নিজের কাছে নিজেকে অসহ্য লাগছে। বিলটা পেমেন্ট করেই রিক্সা নিলাম বাসায় যাওয়ার জন্য।
বোন বলল- ভাইয়া কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবেনা? চলোনা ভাইয়া ফয়েজলেক যাবো। ওখানে নাকি অনেক সুন্দর।
বোনকে বললাম- না আজ আর যাবোনা; অন্য একদিন নিয়ে যাবো।
মনে মনে ভাবছি নিজের বোনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত যা শুনলাম এর পর যদি আর কিছু শুনি আমার সহ্য হবেনা। বোনও বোধয় বুঝতে পেরেছে তাই আর কথা না বলে চুপচাপ চলে এসেছে। রাস্তায় ও কয়েকটা কটু কথা শুনতে হয়েছে আসার সময়।
বাসায় এসে মন খারাপ করে রুমে বসে আছি। খুব খারাপ লাগছে নিজের কাছে। চোখ বেয়ে পানি ঝরছে; মানুষ কিভাবে না জেনে-শুনে আন্তাজে বাজে কমেন্ট করতে পারে। পৃথিবীতে অনেক ভাই আছে; যারা নিজের বোনদের নিয়ে বের হয়। তাই বলে তাকে এসব শুনতে হবে? ঘৃণা করি সমাজের সেসব বখাটেদের; খারাপ লোকদের। যাদের জন্য আমরা ছেলে জাতিরা আজ কলঙ্কিত; মাথা নিচু।

Monday, April 29

April 29, 2019

পরের বোনটা মাল💇নিজের বোন টা কলিজা💃

পরের বোনটা মাল নিজের বোন টা কলিজা

 সে পুরুষ বেশ্যাকে ঘৃণা করে।সে পুরুষ রাতের আধারে বেশ্যাকে বুকে জড়িয়ে নেয়😚
 যে ছেলে প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে মেয়েদের গালাগালি দেয়😡 কয়দিন পর সেই ছেলে আবার প্রেমে পড়ে💏💏
 চলচ্চিত্রের সব থেকে ভালো মেয়েটির ও দুই দিন পর ভিডিও ফাঁস❌❌রাস্তায় থাকা পাগলিটার পেটে বাচ্চা আসে-💃
 মায়ের বোকা ছেলেটাও প্রেমে পড়ে। মা-বাবার চোখের গরমে কেঁদে দেওয়া মেয়েটি রাতে লুকিয়ে বাঁশ বাগানে যায়🌳🌴🌳🌿🌿

16 বছরের ছেলেটাও বলে তোকে ছাড়া বাঁচবো না😣😣10 বছরের মেয়েটা স্ট্যাটাস দেয় অতীত ভুলে যেতে চাই।প্রতিদিন কেউ ধর্ষিত হয়ে কেঁদে বুক ভাসায়😪😪
আবার কেউ লাজ-লজ্জা ভুলে দেহের ক্ষুধা মেটায়👉👌
কাকে দোষ দেবো বলেন??
দিনশেষে এদের নিয়েই আমাদের সংসার
নারী ছলনাময়ী, নারী বেইমান😡😡
পুরুষ স্বার্থপর, পুরুষ বিশ্বাসঘাতক😡😡
পরের বোনটা মাল। নিজের বোন টা কলিজা,,,🙋😛
পরের ভাইটা লুচ্চা, নিজের ভাই ফেরেশতা,,,,🎅🎅
 রোগা না, মেন্টাল না
মানুষ জাতটাই মাতাল🤔🤔

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন এমনিতেই বদলে যাবে😍😍
এটাই আমাদের বাস্তব_সমাজ

‌🏂🏂🏂সম্পূর্ণটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ🏃🏃🏃

Monday, February 25

February 25, 2019

দুই বন্ধুর অফুরন্ত ভালোবাসা

দুই বন্ধুর অফুরন্ত ভালোবাস


আজকে  আমি যে গল্প বলতে যাছি তা হলো প্রকৃত বন্ধু।এক ছিল দুই বন্ধু। ও বুল হয়ে গেছে বন্ধু না দুস। তাদের সম্পর্ক সৃষ্টির কাহিনী টা আমি তুলে ধরছি।  দুজনে যখন ছোট ছিল তখন তাদের এলাকায় এক ছোট্ট স্কুলে পড়ালেখা কত। তখন থেকে শুরু হয় তাদের সম্পর্ক। তাদের একজনের নাম মনির অন্যজনের নাম মেহেদী । তারা দুই জন্য একে আনেকে খুব বিশ্বাস করে।এক জন বরেক জনকে ছাড়া থাকতে পরে না।তারা যা করে সর এক সথে করে।এইবাবে চলতে থাকে তাদের জীবন। তারা দুই জনের মধ্যে এক জন যে কাজই করুন না কেন আরেক জনকে না বলো সেই কাজে হাত দেইনা। বলতে গেল মানুষের মাথা ও কনের মধ্যে যেমন সম্পর্ক। এই ভাবে চলতে চলতে থাকে।কিছু দিন পর মানির শহরে চলে যাই পড়াশোনা করতে। সে খানে গঠে যাই তার জীবনে তীব্র ঝড়। মানির একদিন রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে  যাছিল এমন সময় তার বাইকের সাথে দাকা লাগে মায়া নামে এক রুপসি মেয়ের।ও আরেক টা কথা বলতে বুলেই গেছি মনিরে আবার পরি দুষ ছিল। আরে দাদা পরিটা আর কেও না মেয়ে। মনির দাকা দেওয়ার পরে মায়ার চেহার দেখে তার মাথাত হট ? সে আার দুনিয়া তে নেই  যেন আকাশে উড়ছে...

তাপরে দুই জনে কথা বলা শুরু করলে মনির আসত আসতে ফি হতে থাকে। তার পরে দিরে দিরে তাদের মধো বন্ধুকত সৃষ্টি হয়। আস্তে আস্তে  একে আপর কে ভালো লাগতে শুরু করে। কিন্ত তারা দুইজন কারর মনের কথা জানাই না। মনির তার দোষ কে আগে জানাবে তারপর সে তার মনের কথাটা মায়া কে বলবে। তার পরে মানির মেহেদীকে না জানিয়ে তার বাড়ি চেলে যাই, সেখানে গিয়ে যা দেখল।মেহেদীর বাড়িতে আনু্ঠান হচ্ছিল। সেটাও আবার মেহেদীর বিয়ের। মনির মেহেদীর রুমে  গিয়ে দেখা করার সময় দেখল মেহেদীর যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেটা আর কেও না মায়া! মনির যাকে ভালোবাসা শুরু করেছে। তার পরে মেহেদী ও মনিরের মধ্যে  কথা  চলছিল।মেহেদী বলল এই মায়া যার সাথে আমার বিবাহ ঠিক হয়েছে। মেহেদী বললো শুধু আমার কথাই বললব তর কথা বলবি না। হে বলছি তর যার সাথে  বিয়ে ঠিক  হয়ে ছে আমি তাকেই ভালোবাসি। তার পরে সমস্ত কথাই  বলল। তার পরি সিদ্ধান্ত নিল যে  তাদের মনের কথা  ময়াকে খুলে বলবে এক সাথে। তার জন্য তারা একটা সময় ঠিক করলো। তার পরে যে দিন দেখা করতে যাই সেই দিন মনির ও মেহেদী দুইজন পাশাপাশি  চিয়ারে বসে ছিলো।  এবার মায়া হাজির।পথমে মেহেদীর মনের কথা খুলে  বলল।মেহেদীর মনের  কথা শুনে মনির হা করে তাকিয়ে আছে।এবার মনির তার মনের কথা খুলে বলতে শুরু করে। এবাবেই চলতে থাকে  তাদের  ভালোবাসা গল্প। পরে  তারা দুই বন্ধু  মিলে এই সিধান্ত নিল যাকে মায়া  পছন্দ করবে সেই মায়াকে বিবাহ করবে। তারপর তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা দুইজনেই রাজি হলো। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তখন বিয়ে ঠিক হয়ে গেল মেহেদীর সাথে। মেহেদী তো অন্যরকম খুশি।যেহেতু মেহেদীর সাথে  বিবাহ হবে সেহেতু মেহেদীর তরপ হত এক পাটি। যখন সকল বন্ধুরা আনন্দে মেতে উঠেছিল তখন মায়ার ফন। তখন মেহেদী কথা বলতে বলতে চলে গেল। এটা দেখে মনিরেরত খুব রাগ।যে আজ মেয়ে পেয়ে আমাকে বুলে গেছিস,আমার থেকে দুরে চেলে গেতাস। একদিন মনির ও মেহেদীর দুইজনের মধ্যে  রাগারাগি  হয় তখন মনির মেহেদী কে না বলেই চলে যাই আনেক দুরে.......বাকী আংশ পাট ২ এর মধো বলা হবে।

Thursday, February 7

February 07, 2019

দুষ্ট মিষ্টি সোনা বউটা আমার

দুষ্ট মিষ্টি সোনা বউটা আমার


আমার ভালোবাসা শুধু হয় ২০০৬  সালের ১২ সেপ্টেম্বর  শেষে  দিকে। আমি পথমে দেখ তাক আমার ভালো লাগা। কারন সে ছিল সবার থেকে আলাদা। তার পতেকিট কদম দেখে মনে হয় ছিল সে আর দশটা মেয়ের মতন নয়। তাই তাকে আমার ভালো লাগাতে শুরু।এই ভালোলাগতে থেকেই যে ভালোবাসা হবে তা আমার জানা ছিল না। যেহুেতু তার পতিটি চলার পথ আামার ভালো লাগে তাই আমরা বিবাহিত জীবনের সিধান্ত নিতে কোন রকম দেরি করি নাই। আমার বিবাহের জীবনটা শুধু চট্টগ্রাম সমুদ্র সকদের সেই তীব্র  ঢেউ  থেকে । আমার বন্ধুর হাবিবে বাসাই আমাদের বিবাহের পথম দিন শুরু হয়। আমার বিবাহের সময় আমার বন্ধু রহমান ও হাবিব এবং ওর বন্ধু বেস্ট বানধুবি রাফিয়া।আমরা কোর্টে মেরিস করে সুজা চলেগিয়ে ছিলাম চট্টগ্রামে। আমাকে তখন খুব সুখী মানুষ বলে মনে আমার আন্দের ঢেউ এসে ছিল। আমাদের  বিয়ের পর যখন আমি ওর হাত ধরে বাড়ি যাসছিলাম সেদিন আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম  ঐই মানুষটাকে আমি কোন দিন কোন দুঃখ বেদনা পেতে দেবো না। যতই দুঃখ আসুক না কেন ।
মা যেমন সন্তান কে বুকের মধ্যে আগলে রাখে তেমন বাবে আগলে রাখব তাকে।আজ বিবাহের  দুই বছর  গুরতে না ঘুরতে আামাদের  ছোট একটি ছেলে সন্তান হয়। আমারা দুই জনে আদর করে নাম রাখি বাবু। এইভাবেই  চলতে থাকে  আমাদের জীবন। আমি সহ্য করতে আসম্বব হয়ে উঠেছিলো । একেবারেই সহ্য করতে পারছিনা এই পরিস্থিতি।সুমি আমার হাত ধরে আছে। আমার তখন আনেক কাঁদতে  ইচ্ছা করছে কিন্ত পারছিনা কারন মানুষের কান্নাটা যে ফুরিয়ে যায় সেই ছোটবেলাতেই। এর পর ছেলেরা আর কাঁদে না..কাঁদতে পারেনা.. কাঁদতে হয় না। পুরুষ মানুষ হবে পাথরের মত শক্ত। শত আঘাতেও থাকবে স্থির থাকতেই হয় । আসলে সতিকার অথে আবেগ জিনিসটা কি তা আমি কখনো  উপলব্ধি করি নি। কিন্ত তা এখন  আমি হারের হারে টের পেয়েছি।  তাই আজ আমার ভেতরের সেই পাথর চাঁপা গুলো  আবেগ গলে অগ্নিগিরির লাভার স্রোতের মত আমার বুকের ভিতর পুড়িয়ে দিছে আমা জীবনটাকে। কিন্তু ও আমাকে বলো দেখ তোমাকে ভেঙ্গে পড়ে  চলবে না। কার তুমি ভেঙ্গে পড়লে আমাদের ছোট বাবুটাকে দেখবেকে। আমাদের বাবুটা জীবনে দুঃখ মই হয়ে উঠে  তা আমি চাই না। এভাবে যতই সময় যাচ্ছে তার সময়টা আরো কমে আসছে। বিছানার পাশে বসে আছি  একা চারিদিক কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে আমার জীবনটা।কারন আমার সোনা বউটা আর এই দুনিয়ার বুকেনেই। আমার চোখে কখনো অস্ত্র ছিল না কিন্তু কেন জানি না এখন কোথা থেকে নেমে   আসে আমার চোখে অশ্রুধারা। সে চলে গেছে অনেক দূর আমার জীবনটাকে শূন্য করে ।

Thursday, January 31

January 31, 2019

শুকনা হওয়ার মরমরে প্রেমের প্রস্তাব

শুকনা হওয়ার মরমরে প্রেমের প্রস্তাব

আমার বুকের  ভিতরে গাজী টেকের মতো মরিচা বিহীন সংস্করণ করা এক বুক ভালোবাসা। আমার ভালোবাসা কাহিনী  শুরু  হয়  আমি যখন  ৭ম শ্রেনীতে পড়ি। তখন আমার জীবনে টা উপর দিয়ে নদীর মতো ভায়ে যাই একটা ডানা বিহীন পরি। সেই পরি আার কেও নয় আমার ক্লাসে গনিত মেড়ামের মেয়ে রহিমা । একদিন  ক্লাসে ম্যাডাম ঢুকেই বলল মনির তুই নাকি রহিমাকে প্রেমপত্র দিছিস! রহিমা  তোর প্রেমপত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ম্যাডামের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো যেন সাহারা মুরুভুমি। রহিমা ম্যাডামের একমাত্র মেয়ে। ডাইনী মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। ম্যাডাম আবার বলল কিরে তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন ? ভয়ে আমার পায়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট করে ফেলার মতন অবস্থা হয়ে গেছে আমার। জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ম্যাডাম এমনিতেই আমাকে দেখতে পারে না । তার উপর তার মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি, সেটা পড়ে বেচারি আবার নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছে। ম্যাডাম আমার অবস্থা আজ কি করবে সেটা বুঝার বাকি রইলো না। মনে মনে শুধুই  বিপদের দোয়া পড়ছি আর নিজের বুকে ফুঁ দিচ্ছি। আল্লাহ এবারের মতন আমাকে বাঁচাও এরপর থেকে রহিমাকে নিজের বোনের চোখে দেখবো কখন আনরকম চোখে দেখব না। তার পরে ম্যাডাম আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো আমার দিকে।ক্লাসের সবাই যেন সার্কেস দেখার অপেক্ষায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে। ম্যাডাম আমার কাছে এসে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বলল পড়ে শোনা প্রেম পাগল। ম্যাডামের কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে যেন শুকনা কাঠ হয়ে গেল। আমি লজ্জায় মাথা নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাডার তার ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠে পড়ে শোনা আমাকে।আমি চিঠি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম।
কলিজার বোঁটা রহিমা , কেমন আছো তুমি? জানি তুমি ভালো নেই। কারন তোমার ডাইনী মা ৩৫ মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে! আল্লাহ জানে সারাদিন তোমার উপর ঐ ডাইনীটা কতো নির্যাতন চালায় তাবলে বুঝাতে পারছি না। ও আরেকটি কথা প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার বুক মধ্যে কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। অথচ মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কাউকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ওটা আমারি বুকের ভূমিকম্প ছিলো ।
তুমি জানো সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি গণিতের প্রতি দিতাম তাহলে আমি নিউটনের মতন আমারো পকেটে কুরিখানা নোবেল প্রাইস থাকতো। কিন্তু দেখো আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমার কথা চিন্তা করি এবং সারাদিন তোমার ছবি মনের কল্পনা আয়নায় ছবি একেছি। কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য আনেক সময় ঠিকমতন চিন্তাটাও করতে পারি না। হঠাৎ করে তোমার মা আমার চিন্তার মধ্যে এসে আমাকে লাঠিপেটা করে আর বলে ঐ তুই আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করিস কেন...! সেইদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাঁদে যাচ্ছি হানিমুন করতে রকেটে  শুধু আমি আর তুমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা থেকে যেন তোমার মা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বলে এবার খেলা হবে সুন্দর । তুমি বিশ্বাস করো রহিমা  তোমার কথা মনে হইলেই এই হৃয়দের মধ্যে এনার্জি বাল্ব জ্বলে উঠে। তুমি আবার ভেবো না আমি ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় কিনেছি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য। আমি টিউব বাল্বের কথা বলেছি। যা দিবে তোমাকে শতভাগ আলো ও দীর্ঘদিন দরে গ্যারান্টি। তারপরে হঠাৎ ধপাস কিসের জেন  শব্দ পেলাম। তারপরে সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তারে কাছে নিয়ে গেল। ডাইনী ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপ্যাল স্যার আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন তুই বলে ম্যাডামের মেয়ে রহিমা কে চিঠি দিয়েছিস। কি ছিল সেই চিঠিতে দেখি চিঠিটা আমাকে দেও। আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপ্যাল স্যারকে বললাম আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন স্যার।তানা হলো আপনাকে কিবাবে আমিএকা ডাক্তারের কাছে কিবাবে নিয়ে যাব।

Monday, January 28

January 28, 2019

আজও তোমার আপেক্ষাই বন্ধু

আজও তোমার আপেক্ষাই বন্ধু 


সকাল সকাল আম্মার ডাকে ঘুম ভাঙল আমার। বাবা নাকি মস্ত বড় একটা মাগুর মাছ কিনেনিয়ে আসছে বাড়িতে। এটা এখন দেখতে যেতে হবে।
আম্মা আমাকে ড়াগছে মনির আয় দেখে যা, তোর বাবা কত বড় মাছ এনছে।তখন আমি বলাম যাও আমি বলাম আমি দুই মিনিটের মধোই আসতেছি।  আমি বিছানা থেকে উঠতে যাব, এই মুহূর্তে নিশার ফোন।নিশা বলো বিকেলে পড়.... পাশে দেখা করো।তখন আমি বলাম কেন একটুকি জানতে পাড়ি। —নিশা উওরে বলো _বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে।আমি বলাম সত্যি? তখন কিছু খন চুপ করে থেকে বলো হুম্ খুশি হয়েছ তুমি?মানে কি?
তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে, আর আমি খুশি হব?
 নিশা বলো কিছুই করার নাই মনির আমি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না, ফোন রেখে দিল নিশা। আম্মা আবার ডাকতে এলো আমাকে, পেছন পেছন বাবাও। কিরে,চল,মাছটা দেখবি চল। বাবার জোরাজুরিতে মাছ দেখতে যেতেই হলো আমাকে। কিন্তু আমার কিছুই ভালো লাগছে না।আর আমার নিজের কাছে যেন খারাপ লাগছিল। আমি নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।নিশা আমাকে ২৯৯টা চিঠি লিখেছে। সব কয়টা নিয়ে বসেছি। রুমে আগুন জ্বালিয়ে আর একটা বেনসন সিগারেট জ্বালিয়ে মনের দুখে একটার পর একটা চিঠি পুড়ছি আমি। একটায় নিশার হাসিমাখা ছবি দেখে আর পুড়তে পারলাম না। আম্মা আমার ঘরে এসে এসব পোড়ানো কাগজ দেখে একপ্রকার কান্না শুরু করে দিলেন। আমার হাতে নিশার পোড়া ছবি, স্নিগ্ধ ঠোঁটের আভা এখনো ঝলমল করছে। আম্মা বিষয়টি বুঝে কিছুটা সান্ত্বনার কথাবার্তা বললেন। কিন্তু মনে মনে নিশার ওপর আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল। আমি রাগ করে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না। রাগটা তখনই ঝাড়তে হয়। নিশা কে ফোন দিলাম সব রাগ উগরে দেব আজ। নিশা ফোন রিসিব করে হ্যাঁ...বলো মনির। আমি বলাম কী করো?নিশা বলো_ও ফোন দিছিল।  এই মাএ কথা বললাম। আমি বলাম ও-টা কে?
নিশা আমাকে বলো যার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি বললাম ওই ব্যাটা তোমাকে ফোন দেবে কেন?নিশা বলো এটা কেমন কথা, মনির ? ও তো ফোন দিতেই পারে। আমি রেগে গিয়ে বললাম না বলবা বিয়ের পরে যেন ফোন দেয়।নিশা পারব না। ফোন রাখো।মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম, বিকেলে গিয়ে আংটিটা নিয়ে আসব, কোনো কথা বলব না।বিকেল ৪টা, নিশা লাল-সাদা একটা শাড়ি পরেছে। সাধারণত সে শাড়ি পরে না, আজ কেন পরল বুঝতে পারলাম না। আমি বললাম শাড়ি পরেছ কেন?
নিশা বলো ও পছন্দ করে।আমি বলাম ও পছন্দ করে বলে পরেছ। আর আমি যে প্রতিদিন বলি, সেটা তো শোনো না। নিশা আমাকে বলো তোমার কথা শুনব কেন?আমি বলাম নিশা তাহলে কি ২৯৯টা চিঠি মিথ্যা? নিশা হাসতে হাসতে বলো চিঠি? এগুলো ছিল পাগলামি। আমি বলাম পাগলামি? তুমি এমন কথা বলতে পারো না। কিছুখন দারিয়ে থেকে নিশা আমাকে বলো রাখো তো তোমার প্যাঁচাল, এই নাও। এখানে তোমার দেওয়া আংটিটা আছে, আর একটা চিঠি। এই আমার ৩০০তম চিঠি। আমি বললান আবার চিঠি কেন?নিশা বলো ৩০০ চিঠি পূর্ণ করলাম।আমি তখন বলাম আচ্ছা আমি যাই, আমার ভালো লাগছে না।নিশা তখন বলো যাবা? যাও।বাসায় এসে রুমের দরজা বন্ধ করে ইভার দেওয়া বাক্সটা খুললাম। একগাদা গোলাপের পাপড়িতে ভরা বাক্স। চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে বসলাম।চিঠি মধো লেখা ছিলো -এই যে আমার বোকা বাবু, আমি বললাম আমার বিয়ে ঠিক, আর তুমি সেটাই বিশ্বাস করে নিলে। আমার ভালোবাসা কি এতই সস্তা? আমি ভালোবাসি তোমাকে, বুঝেছ বোকা বাবু? আমি একটা পরীক্ষা করলাম। আমার বিয়ের কথা শুনে তুমি যদি আমার চিঠিগুলো পুড়িয়ে ফেলো তবে মনে করব তুমি আমাকে ভালোবাসোনি। ভালোবাসার মানুষের স্মৃতি ধরে রাখাটা ভালোবাসার একটা অংশ। আমি আসছি চিঠিগুলো দেখতে। আম্মা আমাকে ডাকছে।মনির বাবা , কী করিস? কিছু না মা।নিশা আসছে, হাতে গোলাপ অনেকগুলো। আমি বলাম যাও, আমি আসছি। আমি তখন  ঘাম ছি। উঠে দাঁড়িয়ে আবার বসে পড়লাম, হাত-পা কেমন জানি অবশ হয়ে আসছে। নিশা চলে এলো আমার ঘরে । আমি বলাম নিশা তুমি?নিশা বলো হ্যাঁ আমি, আমার চিঠিগুলো কই?হাতে থাকা চিঠিটা নিশার দিকে বাড়িয়ে দিলাম।নিশা বলো আরো বাকি ২৯৯, নিয়ে আসো। আমি অবাক বিস্ময়ে নিশার দিকে তাকিয়ে আছি। তবে কি আমি নিশাকে ভালোবাসিনি? নিশা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। নিশা আমাকে বলো মনির এটা ভালোবাসা নয়, এটা আবেগ। ভালোবাসা হচ্ছে মনের ভেতর পুষে রাখা আকুতি। নীরবে ভালোবাসার মানুষটির সুখ কামনা করা। রাগ করে তুমি যেটা করলে, সেটা ভালোবাসা হতে পারে না। আমি কিছুই বলতে পারছি না, মনের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল। আমি বুঝতে পারছি, আমি নিশাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি, যেটা শুধুই ভালোবাসা। এখানে আবেগের স্থান খুব অল্প। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। নিশা চলে যাচ্ছে, এই বুক খালি করে দিয়ে দূরে, অনেক দূরে। সে যে কোথাই চলে গিয়েছিল  তা এখনো সন্দেহ মিলেনি। আমি আজ সেই এক বুক ভালোবাসা নিয়ে বসে আছি তার আপেক্ষাই...!!!

Friday, January 25

January 25, 2019

স্বপ্নের রাজকন্যা


স্বপ্নের রাজকন্যা



প্রত্যেক মানুষের তার স্বপ্নের রাজকন্যাকে হয়তো নীল শাড়িতে ও লাল শাড়িতে অনুভব করতে চাই। কিন্তু আমি তোকে প্রথম দেখেছিলাম সাদা শাড়িতে। হ্যাঁ, অবশ্যই কোনো এক শেষ বিকেলে । প্রেমে পড়ার মতো কোনো সাজ তোর ছিল না। শুধু ছিলএকটা সরল সোজা মেয়ে। তারপর থেকে সে আমার অনুভূতিতে সেই সাদা শাড়ি পরা রাজকন্যাই। সেই প্রথম দেখা তুমি ছিলি শান্ত একটা মেয়ে, চুপ করে বসে থাকা,যেন কোন মায়ের কোলে বসে থাকা ছোট্ট একটি মাসুম বাচ্চা। আজ তুই চঞ্চল, কথায় কথায় তোর দুষ্টুমি। আমার দেখা তুই ছিলি ভাবগম্ভীর অন্যভাবে বলা যায় প্রেমে পড়বি না এমন কথা। আজ সেই তোর আমার মাঝেই বিচরণ করে আছে একটুকর ভালোবাসা। যুক্তিবিদের মতো তোর কথার যুদ্ধে আমি কখনোই জয়ী হতে পারিনি। আর আজ তোর অযৌক্তিক কথার যুক্তি আমার কাছে নেই। মনের ‘বাচ্চামি’ লুকিয়ে রাখা তুই আজ বাচ্চাই হয়ে গেছিস। হ্যাঁ, সেইত আমার জীবনের প্রথম ও শেষ। প্রেম করেছি ছয় বছর। আর বিয়ের বয়স হলো তিন বছর।আমি আমার মতোই সাজিয়ে নিয়েছি। জানি, সে আর পাঁচটা মেয়ের মতো স্বাভাবিক না। আমরা যখন দ্বাদশ ইয়ারে পড়ি, তখন একটা ঘটনায় ওর মাথায় আঘাত লাগে। চিকিৎসা করানোর মতো তেমন কোন টাকা ছিল না। আমিও করাতে পারিনি। সেই অপরাধবোধ আমি আজও মুছতে পারিনি। তারপর আস্তে আস্তে কয়েক বছর ধরে ওর অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া। যখন বিয়ে করি আম্মা-খালারা বলেছিল, এই মেয়ে তো পাগল। এর বোঝা জীবনে নিচ্ছিস কেন?আমি বলেছিলাম, নিজের জীবন কখনো নিজের কাছে বোঝা হয় না। এরপর আছি ওর সঙ্গে। কাজ সামলানো আর তারপর আমার অরোরাকে সামলানো এই তো আমার জীবন।আমরা আগে যখন আমরা দেখা করতাম, অরোরা সব সময় আমার চুলগুলো ঠিক করে দিয়ে বলত—এই তোর চুলগুলো এমন কেন রে? আর আজকে আমিই ওর চুল বেঁধে দিই। ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা মেয়েটা আজকে বৃষ্টি ভয় পায়, রাতবিরাতে ঘুরতে চাওয়া মেয়েটা আজকে অন্ধকার ভয় পায়। এখন একটু চিকিৎসা করানর জন্য একটু সাভাবিক হয়েছে । আমার অবুঝ বউটা আমাকে এখন চা বানিয়ে খাওয়াতে পারে। কথাগুলো গুছিয়ে বলতে শিখেছে, জেদ ছেড়েছে। বিকেলবেলা হাঁটতে গেলে সে এখন হাত ধরেই হাঁটে। একা একা চোখে কাজল পরতে পারে। আমি যখন প্রতিদিন কোলে শুইয়ে যখন ঘুম পাড়িয়ে দিই, আমি একটাই প্রার্থনা করি তুই যেমনই হোস আথবা যাই হোস, তুই শুধু আমায় ছেড়ে যাস না কখনো।

Saturday, January 19

January 19, 2019

স্টেশনের মেয়ে

স্টেশনের মেয়ে

কোন এক বিকালে এক ওটও স্টেশনের পাশে হাঁটছিলাম মনির, মেহেদী ও আল-আমিন। আমরা তিন বন্ধু,  দ্বিতীয় বর্ষের দ্বাদশ এর শিক্ষার্থী। প্রচণ্ড ঘোরাঘুরির নেশা। অনেক কিছু জানা যায়, শেখা যায়, নানান বর্ণের নানান পেশার মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যায় বলেই ঘুরতে ভাল লাগে তাদের।আমাদের বন্ধু দের মধো  মনির সবচেয়ে ভিন্ন।তার খুটিনাটি খুজেবের করার সক। হঠাৎ মনিরের চোখে ধরা পড়ল ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী। কালো কেশ বাতাসে উড়িয়ে তাদের দিকেই আসছে। প্রায় কাছাকাছি এসে মেয়েটা একটা বাদামওয়ালা পিচ্চিকে ডাক দিল। মনির, মেহেদী ও আল-আমিন বলাবলি করছিল মেয়েটা বোধহয় খারাপ। একটু পর মেহেদী  বাদামওয়ালাকে ডাকল। বাদাম নেয়ার ফাঁকে মেয়েটির সম্পর্কে একটু জিজ্ঞেস করল। পিচ্চি বলল, আফায় খুব ভালো। আমারে দেখলেই বাদাম নেয়। তয় হুনছি খারাপ কাজ কইরা টাকা কামায়! মানষেরা মোটর সাইকেল, গাড়ি দিয়া আইসা লইয়া যায় আবার রাইখাও যায়। ছেলেটি কথা বলেই যাচ্ছিল। মায়ে কইছে মানুষরে ওজনে কম বাদাম দিলে পাপ অয়। এজন্যিই ওজনে কম দেই না। তাইলে খারাপ কাজ করলে পাপ অয় না? পিচ্চিকে টাকা দিতে দিতে মেয়েটিকে ইশারা করল আল-আমিন। মেয়েটি কাছেআসল। এরা লোক দেখলেই বোঝে কে কোন উদ্দেশে কাছে ডাকছে। বেশ কিছুক্ষণ আলাপ হল। মেয়েটিও আজ কথা বলছে আমাদের সাথে। মেয়েটা  বলল আমার এক একটা কথা বুকের জমাট ব্যথা থাকে সেখান থেকে বোধহয় বের হচ্ছিল। বাল্যকালের সুখস্মৃতি হাতড়াচ্ছে মেয়েটি। আনন্দময় জীবন ছিল তার। কিছুটা পড়াশোনাও করেছিল। মাত্র ১০বছর বয়সে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মারা যায়। সেদিন সেও ছিল সাথে। ইশ যদি আমিও  মরতাম তাহলে ভালই হত। পাপ কম, হিসেব কম, সোজা স্বর্গে চলে যেতাম। মা কি করে আপনার? হঠাৎ প্রশ্ন করল মেহেদী । অন্যের বাসায় কাজ করে। হকচকিয়ে উত্তর দিল মেয়েটি। ১৩ বছর বয়সে মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয় আমার। মায়ের অনেক কষ্টে জমানো টাকা ছিল। বিয়ের প্রথম মাস ভালই কাটছিল। স্বামীর আদর-ভালবাসায় দুনিয়াকেই স্বর্গ মনে করছিলাম। মাসের শেষে আস্তে আস্তে ভালবাসায় ভাঁটা পড়তে থাকে। একটা চাকুরি করত। বিয়ের পরপরই ছেড়ে দিয়েছে। এখন নতুন চাকুরি খুঁজছে। মায়ের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য জোর করত। অলস, কাজকর্ম করতে চায় না। আমি আনতে চাইনি। এক সময় বলত যেভাবে পারিস টাকা উপার্জন করবি। ভাবছিলাম হাতে টাকা নাই তাই রাগের মাথায় এমন কথা বলছে। পরে বুঝছিলাম এটাই তার মনের কথা ছিল। একদিন সন্ধ্যাবেলা আমার স্বামীই আমাকে এই ট্রেন স্টেশনে রেখে যায়! চোখযুগল ছলছল করছে মেয়েটির। স্বামীর আদেশ মানছি। পাপতো করছি না! স্বামীর কথা অমান্য করলে স্বর্গে যাব কিভাবে? এখন বাসায় গেলে দেখব সে আরামে ঘুমাচ্ছে। বড়ই সুখের সে ঘুম। রাগ নাকি অভিমান তেমনকিছু বোঝা গেল না কথাগুলোয়।
একটা দীর্ঘশ্বাস! নিরবতা-নিঃস্তব্ধতা ভেঙ্গে আল-আমিন বলল, একটা শক্ত বড় ইট সংগ্রহ করতে পারবেন না? বলেই যাচ্ছে আল-আমিন। এইটা আপনার অলস-অকর্মণ্য স্বামীর বিছানার পাশে রাখবেন। যেন সে বুঝতে না পারে। যখন সে গভীর ঘুমে থাকবে তখন ইটটা সোজা কপাল বরাবর মারবেন। এক আঘাতে মারলে ওর কষ্ট কম হবে, আপনার পাপও কম হবে। আতক হয়ে উঠল মেয়েটি। এ কী বলছেন! ও আমার স্বামী। এই বলে মেয়েটি চলে যেতে চাইল। কথাটি হয়তো তার ভাল লাগেনি। মনির, মেহেদী, আল-আমিন কেউই থামাল না। কোনো একদিকে হাঁটা দিল মেয়েটি। অন্ধকারের দিকে, না হয় আলোর দিকে….!