Breaking

Saturday, December 22

অভাগিনী মা

অভাগিনী মা

আভাগিনি মা" কথাটি শুনতে যোন কেমন লাগে। সত্যি কথাটি আসলেই কেমন যেন লাগে।
বর্তমান সময়ে  একটা ঘঠনা।২০১৮ সালে এক আভাগিনি মা মায়োর কাহিনী।  পরিবারটি খুব গরিব। তার ফেমেলিতে তিন জন।মা-বাবা ও এক ছেলে নিয়ে তাদের সুখের সংসার চলছিল।
ছেলেটির বয়স যখন ১৫বছর বয়স তখন তার তার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। শুরু হয় তাদের অভাবের সংসার জীবন। তারা অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতে শুরু করল। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। এভাবে চলে গেল এক বছর। একদিন তার বাড়ি  বাড়ির পাশের এক লোক তার ছেলেকে বিদেশে নিয়ে যাবে বলে তাকে প্রস্তাব দেয় পস্তাবে রাজি হয়ে যায় কিন্তু তারা কাছে 2 লক্ষ টাকা দাবি করে কিন্তু কার কাছে এত টাকা ছিল না অবশেষে তার বাড়ির জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা করে।

অবশেষে তার বাড়ি জমি বিক্রি করে দেই। এখন তার বাড়িতে থাকার মত কোন জায়গা নেই। এখন সে অন্য বাড়িতে কাজ করে।  কোন জায়গা নেই থাকার। যেখানে রাত সেখানে শুয়ে পড়ে। এভাবে চলতে থাকে দিন অবশেষে তার ছেলে ভালো পজিশনে চলে যায় এবং দেশে যে তার মা আছে কোনো খোঁজ-খবর নেয় না সে। অনেক খারাপ বাবে  ছিল তার জীবন। আস্তে আস্তে সে যতই দরকার কাজে তার শরীরের অবস্থা তাকাও খারাপ হয়ে যায় ও শেষে তার  অবশেষে তার প্রতিবেশীরা তাদের অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  পরীক্ষা করার পরে ধরা পড়েছে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। কখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। তার ছেলেকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে তার ছেলেকে বলা হয়েছে তুমার মায়ের  দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তখন তা ছেলে অন্য রকম একই আচরণ করে বলেই তো আমি এখন কি করবো। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলে যদি আপনার দুই কিডনি থেকে একটা কিডনি আপনার মা কে  দেন তাহলে আপনার মা কিছুদিন বেঁচে থাকবে। তখন তার ছেলে বলে এটা কিভাবে সম্ভব। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলে অবশ্যই সম্ভব আপনি যদি আপনার দুইটি কিডনি থেকে একটা  দেন  তাহলে  আপনিয় বেচে থাকবেন এবং কি আপনার মাও বেঁচে থাকবে। তখন তার ছেলে বলে উঠল আমার জীবনটা এইমাত্র শুরু হয়ে উঠেছে। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলে উঠলো এটা অবশ্যই সম্ভব আপনি একটু ভেবে বলুন। তখন তার ছেলে বলল না এটা কখনোই সম্ভব না কারন আমার জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত এই মাত্র শুরু হয়েছে এবং আমার একটা পরিবার আছে

ছেলের বয়ানের মতে আমরা বুঝলাম যে তার জীবনের কিছুটা অংশ এই মাত্র শুরু হয়েছে এই সেই বোঝাতে চেয়েছে এটাই সে বুঝাতে চেয়েছে সে বুঝাতে চেয়েছে তার মা তো এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছে এখন সে মারা গেলে কোনরকমে তার সমস্যা হবে না কিন্তু তার জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত এখন শুরু হয়েছে এখন যদি তার দুইটি কিডনি থেকে একটা চিকনি তার মাকে দিয়ে দেয় তাহলে তার বাকি জীবন কিভাবে চলবে এই নিয়ে চিন্তা করল তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলল এ রকম সন্তান জন্ম হাত থেকে না হয়ত ভাল ছিল কেন যে এই অভাগিনী মায়ের এরকম একটি সন্তান জন্ম নিয়েছিল আমি তো সেটা ভেবে পাচ্ছি না। তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষ সেই ছেলেকে বলল যে তোমার মা তোমার জন্য কি বলেছিল তুমি তা শুনতে চাও তাহলে শুনো তখন তার মায়ের সমস্ত ঘটনা আস্তে আস্তে বলতে লাগল তার মা বলেছিল আমার দেহের প্রত্যেকটা অঙ্গ অঙ্গ বিক্রি করে দিয়েও আমার ছেলেকে দিয়ে দিও তাও যেন সে সুখে থাকে।
তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় যে দুনিয়াতে আসলে এরকম ছেলে থাকার থেকে না থাকাই ভালো। গল্পটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments:

Post a Comment