Breaking

Thursday, January 31

শুকনা হওয়ার মরমরে প্রেমের প্রস্তাব

শুকনা হওয়ার মরমরে প্রেমের প্রস্তাব

আমার বুকের  ভিতরে গাজী টেকের মতো মরিচা বিহীন সংস্করণ করা এক বুক ভালোবাসা। আমার ভালোবাসা কাহিনী  শুরু  হয়  আমি যখন  ৭ম শ্রেনীতে পড়ি। তখন আমার জীবনে টা উপর দিয়ে নদীর মতো ভায়ে যাই একটা ডানা বিহীন পরি। সেই পরি আার কেও নয় আমার ক্লাসে গনিত মেড়ামের মেয়ে রহিমা । একদিন  ক্লাসে ম্যাডাম ঢুকেই বলল মনির তুই নাকি রহিমাকে প্রেমপত্র দিছিস! রহিমা  তোর প্রেমপত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ম্যাডামের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো যেন সাহারা মুরুভুমি। রহিমা ম্যাডামের একমাত্র মেয়ে। ডাইনী মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। ম্যাডাম আবার বলল কিরে তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন ? ভয়ে আমার পায়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট করে ফেলার মতন অবস্থা হয়ে গেছে আমার। জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ম্যাডাম এমনিতেই আমাকে দেখতে পারে না । তার উপর তার মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি, সেটা পড়ে বেচারি আবার নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছে। ম্যাডাম আমার অবস্থা আজ কি করবে সেটা বুঝার বাকি রইলো না। মনে মনে শুধুই  বিপদের দোয়া পড়ছি আর নিজের বুকে ফুঁ দিচ্ছি। আল্লাহ এবারের মতন আমাকে বাঁচাও এরপর থেকে রহিমাকে নিজের বোনের চোখে দেখবো কখন আনরকম চোখে দেখব না। তার পরে ম্যাডাম আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো আমার দিকে।ক্লাসের সবাই যেন সার্কেস দেখার অপেক্ষায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে। ম্যাডাম আমার কাছে এসে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বলল পড়ে শোনা প্রেম পাগল। ম্যাডামের কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে যেন শুকনা কাঠ হয়ে গেল। আমি লজ্জায় মাথা নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাডার তার ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠে পড়ে শোনা আমাকে।আমি চিঠি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম।
কলিজার বোঁটা রহিমা , কেমন আছো তুমি? জানি তুমি ভালো নেই। কারন তোমার ডাইনী মা ৩৫ মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে! আল্লাহ জানে সারাদিন তোমার উপর ঐ ডাইনীটা কতো নির্যাতন চালায় তাবলে বুঝাতে পারছি না। ও আরেকটি কথা প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার বুক মধ্যে কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। অথচ মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কাউকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ওটা আমারি বুকের ভূমিকম্প ছিলো ।
তুমি জানো সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি গণিতের প্রতি দিতাম তাহলে আমি নিউটনের মতন আমারো পকেটে কুরিখানা নোবেল প্রাইস থাকতো। কিন্তু দেখো আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমার কথা চিন্তা করি এবং সারাদিন তোমার ছবি মনের কল্পনা আয়নায় ছবি একেছি। কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য আনেক সময় ঠিকমতন চিন্তাটাও করতে পারি না। হঠাৎ করে তোমার মা আমার চিন্তার মধ্যে এসে আমাকে লাঠিপেটা করে আর বলে ঐ তুই আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করিস কেন...! সেইদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাঁদে যাচ্ছি হানিমুন করতে রকেটে  শুধু আমি আর তুমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা থেকে যেন তোমার মা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বলে এবার খেলা হবে সুন্দর । তুমি বিশ্বাস করো রহিমা  তোমার কথা মনে হইলেই এই হৃয়দের মধ্যে এনার্জি বাল্ব জ্বলে উঠে। তুমি আবার ভেবো না আমি ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় কিনেছি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য। আমি টিউব বাল্বের কথা বলেছি। যা দিবে তোমাকে শতভাগ আলো ও দীর্ঘদিন দরে গ্যারান্টি। তারপরে হঠাৎ ধপাস কিসের জেন  শব্দ পেলাম। তারপরে সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তারে কাছে নিয়ে গেল। ডাইনী ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপ্যাল স্যার আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন তুই বলে ম্যাডামের মেয়ে রহিমা কে চিঠি দিয়েছিস। কি ছিল সেই চিঠিতে দেখি চিঠিটা আমাকে দেও। আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপ্যাল স্যারকে বললাম আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন স্যার।তানা হলো আপনাকে কিবাবে আমিএকা ডাক্তারের কাছে কিবাবে নিয়ে যাব।

No comments:

Post a Comment