Breaking

Monday, January 7

গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর এক ভৌতিক ঘটনা


গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর  এক ভৌতিক ঘটনা

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমি যে গল্পটি নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে গল্পটি আসলে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি মুহূত এ র্মুহূর্তটি ছিল আসলেই অসাধারণ একটি মুহূর্ত। 2018 সালের শেষ দিকে 26 ডিসেম্বর বন্ধুরা ঠিক করলাম যে আমরা পিকনিক করবো। জানুয়ারি 1 তারিখের বন্ধুর মধ্যে কিছু সমস্যার জন্য পরবর্তীতে মত পরিবর্তন করা হলো পরিবর্তন করে দেয়া হলো। যে আমরা জানুয়ারি 4 তারিখে পিকনিক করবো। দিনটি হলো শুক্রবার অবশ্যই সকলে আমরা মজার মুহূর্ত গুলো কাটাতে থাকবো।  সবাই ছিলাম  খুশিতে আত্মহারা আমরা কিছু টাকা চাঁদা ধরে কি কি আয়োজন করতে কি কি লাগবে সে সব বিষয়ে সকলে ভাবতে লাগলাম। ওব  শেষে সকলের মত অনুযায়ী আমরা ফাইনাল করলাম যে সামান্য কিছু উপকরণ নিয়ে আমরা আয়োজন ৪ জানুয়ারি 2019 করব। অবশেষে ভাবে চলতে থাকলো আমাদের প্রত্যেকটি বন্ধুর জীবনের ভাবনার সময় গুলো কিন্তু কারোর জানা ছিল না যে সেই দিনটায়ই হয়ে আমাদের জন্য একটি ভয়ংকর রাত আমাদের বন্ধুদের মধ্যে আমরা ছিলাম আলামিন, মনির, সামিউল, আরিফ, মেহেদী, রাজু, সোহেল ভাই, দিপু, সাকিল, সজীব, রিপন আরো অনেক বন্ধু সবার নাম তো বলা সম্ভব হলো
না বৃহস্পতিবার রাতে পিকনিকের সকল বস্তুর ভাড়া সহ কিনা আরম্ভ করলাম পরদিন সকাল শুক্রবার  সকাল নয়টার দিকে সকল বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে লাগলাম এবং সকলে মিলে সকল উপকরন গুলো নিয়ে আসতে লাগলাম। এবং আমরা কোন জায়গায় তাবু করব তা নিয়ে চিন্তা ।  ও আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমরা যে এলাকার থাকি সেই এলাকাতে ভয়ংকর কোন জায়গায় ছিল না জানা মতে  কিন্তু জানি না যে আমরা যে জায়গায় ঠিক করেছিলাম সেই জায়গায় এতটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে । আমাদের আয়োজন এর মধ্যে ছিল ছোট্ট একটি তাবু এবং দুইটি বক্স আমরা বন্ধুরা যখন বক্স ভাড়া করেছিলাম তখন কারোরই মনে ছিল না যে বক্স বাজানো ব্যাটারি নিতে হবে।  তারপর যখন মনে হল  সকলে ঠিক  করলাম কারেটে খাম্বা থেকে কারেন্ট নিয়ে বক্স বাজাবো। আমাদের মধ্যে আবার দুইজন ছিল ইলেকট্রনিক মেকআর। তারপর মেগা দুজন তারাও খাম্বার উপর উঠে বিদ্যুতের লাইন দিল অবশেষে জানা গেল যে তারে বিদ্যুতের লাইন দিয়েছিল সেই তারে কোন বিদ্যুৎ ছিল না। তারপর তার খুলে রাখা হলো। তার পরে সকলে মাথায়  চিন্তা  কি ভাবে গান বাজাব। অবশেষে বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে অন্যার বাড়ি থেকে আমরা বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের প্রোগ্রামটি চালিয়ে যাব। কিন্তু না বাড়ির কর্তৃপক্ষ কিছুতেই রাজি হলো না। তারপর আমরা মনের দুঃখে আবেগের সুখে সিদ্ধান্ত নিলাম যে অন্য একটা জায়গায় কি আমরা প্রোগ্রামটির চালাবো তার জন্য রাস্তার পাশে ছিল একটি ছোট্ট একটি কবরস্থান তার পাশে একটি ছোট্ট খেত তার পাশে কি কারেন্টের খাম্বা সেখা থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে প্রোগ্রামটি চালিয়ে যাব এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তারপর কারেন্টের লাইন ওকে করা হলো। এবার বক্স বাজচ্ছে গান হচ্ছে।  বন্ধুরা সকলের মনের সুখে যার যে দায়িত্ব ছিল সে অনুসারে কাজ করতে লাগলাম এভাবে চলতে থাকলো আমাদের সেই দিন টা আস্তে আস্তে বিকাল  গড়িয়ে আসলো  সন্ধ্যা।  সেখানে মাএ একটা  লাইটের ব্যবস্থা ছিল। এভাবেই চলছিল আমাদের ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম। সকলে তো আমরা আনন্দে মেতে উঠেছিলাম সেই সময়। আমরা তো কোনাস আমরা তখন সকলেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম চার্জে কাজ নিয়ে কেউবা রান্না করার প্রস্তুতি কেউ আমার ফেসবুক লাইভে কেউ আবার কথা বার্তা নিয়ে ব্যস্ত কেউবা গান বাতাসে কেউ আবার ফোনে কথা বলছে কে আবার নিত্য করছে এই স্বপ্নে সকলে আমরা ব্যস্ত উঠলাম এভাবেই চলতে চলতে রাত 9 টা বেজে গেল।
নাটোর থেকে আমরা ঠিক করলাম এখন রান্নার কাজটা শেষ করে ফেলব কারণ শীতের রাতে সাধারণত নয়টার সময় গভীর রাতে পরিণত হয় সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা রান্না করতে আরম্ভ করলাম সেই সময় ঘটে গেল এতে ভয় করে দুর্ঘটনা।  পাশে যে কবরস্থানটি ছিল সেখান থেকে এক ভয়ংকর চিৎকারের আওয়াজ আমরা শুনি তেমনটি ভয় পাইনি ভেবেছিলাম হয়তো অন্য কোন জায়গা থেকে অওয়াজটি এসেছে। এ ভেবে আমরা আমাদের প্রোগ্রাম চালাতে থাকলাম চালাতে চালাতে আমরা যখন বিরিয়ানি রান্নার জন্য সব উপকরণ নিয়ে হাজির হলাম তখন সবকিছু ঠিকই ছিল আমাদের মধ্যে রান্না করতে পারদর্শী ছিল দিপু,সে রান্না করার জন্য শেয়ার মধ্যে আগুন দিয়ে রান্না আরম্ভ করলো যখন সে পাতিলের ভেতর 1 লিটার তেলে ঢেলে দিল তখন দেখতে পেল তেল আর তেল নেই তেল যেন পানি হয়ে গেছে সে ভেবেছিল হয়তো রাতের অন্ধকারের জন্য এরকম টা হয়েছে কিন্তু না আসলেই তেল কি তখন পানি হয়ে গেছে তারপরও না বুঝে না বুঝার জন্য পিয়াজ  তেলের মধ্যে ঢেলে দিল ফেলে দেওয়ার পর আমাদের কয়েকজন বন্ধুর সাথে পরামশ করে দেখা গেলযে তা ঠিক আছে কি। বন্ধুরা দেখে বললাম না এ তো তেল না একদম স্বচ্ছ পানি তারপর তারা গোপনে পরামর্শ করল যে এই ব্যাপারটা বাকি বন্ধুদের কে বলা যাবে না ।  তারা আমাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে তেল এবং পেঁয়াজ কিনে নিয়ে এসে। এবাবেই চলতে থাকলো আমাদের বাকি সময় পর্বতের আমরা সকলে অনুষ্ঠানটি শেষ করে বাড়ি ফিরে যায়
পরের দিন সকাল দেখে আমরা ঘটনাটি সত্যি কিনা তা দেখার জন্য সেই জায়গায় যাই যাওয়ার পরও দেখতে পেলাম অবশ্যই গঠনটা সত্যি ছিলো ।

No comments:

Post a Comment